পুলিশ রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাকে অভিযুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা যায়, পুলিশের গাড়িতে আগুন, ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ধারায় এ মামলা হবে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির একাধিক নেতা আসামি হবেন।
পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, মির্জা আব্বাসসহ আরও অনেককে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের হামলা ও ভাংচুরের শুরুতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী। মির্জা আব্বাস কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বিনা উসকানিতে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। সেটা না হলে কীভাবে নয়াপল্টনের সামনে বিএনপি সমর্থকদের হাতে শত শত লাঠি থাকবে? কেন শত শত নেতাকর্মী হেলমেট পরে সেখানে যাবে? পুলিশের উসকানিতে হামলা হয়েছে এমন কোনো আলামত ও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবে না বলে দাবি তাদের।
তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা করেছে। নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি তাদের।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যারা হেলমেট পরে জ্বালাও-ভাংচুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করছে পুলিশের একাধিক টিম।
তবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে হেলমেট বাহিনী, যারা ক্ষমতাসীনদের হয়ে কাজ করে।