মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়া-ইরানও আইএস এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছায়াযুদ্ধে মেতে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন।
মার্কিন জোট থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর প্রধান রামি আবদুররহমান বলেন, শনিবার আবু আল হাসান গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ওই হামলায় ১৭ শিশু ও ১২ নারীসহ ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহত পুরুষরা আইএস সদস্য কি না তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
সিরীয় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাও বিমান হামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। তবে তারা নিহতের সংখ্যা জানিয়েছে ৪০ জন। আইএস সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা আমাকও জানিয়েছে এই হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
১০ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯১ জন বেসামরিক নিহতের কথা নিশ্চিত করেছে সিরিয়ান অবজারভেটরি। এরমধ্যে অনেক আইএস পরিবান ছিল।