তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের পাঠানো ১৫ সদস্যের কিলিং স্কোয়াড খাশোগিকে যে হত্যা করেছে তার সর্বশেষ প্রমাণ হিসেবে বেরিয়ে এসেছে মরদেহ টুকরো করার ছবি।
ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও স্বাধীন লেখকদের জন্য উন্মুক্ত প্লাটফর্ম আল সুরার একটি প্রতিবেদনে কিছু ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে ছবিগুলো খাশোগির লাশ টুকরো করার সময়কার।
প্রতিবেদেনে বলা হচ্ছে, খাশোগিকে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তারা দাবি করছে, তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের হাতে যে ছবি এসেছে সেখানে খাশোগির মরদেহ টুকরো করার দৃশ্য দেখা যায়।
খাশোগি হত্যার প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ডের ছবি প্রকাশিত হলো। তবে তাদের হাতে থাকা ওই ছবিগুলো এখনও বিশ্বাসযোগ্য কোন পক্ষকে দিয়ে যাচাই করা হয়নি।
সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের কিলিং স্কোয়াডকে খাশোগি হত্যার জন্য তুরস্কে পাঠানো হয়। তাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল যে, ২ অক্টোবর কনস্যুলেটে যাবেন খাশোগি।
তাই পরিকল্পনা মাফিক ওইদিনই তারা কনস্যুলেটে গিয়ে খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে তা নিশ্চিহ্ন করতে এসিডের মাধ্যমে গলিয়ে ফেলে। ১৫ সদস্যের ওই কিলিং স্কোয়াডে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞও ছিলেন।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর রিয়াদ প্রথমে অস্বীকার করে তারা এ ব্যাপারে কিছু্ই জানে না। কিন্তু চাপে পড়ে ঘটনার সপ্তাহখানেক পর সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হন খাশোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি কর্তৃপক্ষ খাশোগি হত্যায় জড়িত ১১ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেন। এদের মধ্যে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএ খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের পর জানিয়েছে যে, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এদিকে ঘটনার প্রায় একমাস পর তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয় খাশোগি হত্যার অডিও রেকডিং তাদের হাতে আছে এবং ওই রেকর্ডিংগুলো তারা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে পাঠিয়েছে।