নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (আরও) আগামীতে নির্বাচন কমিশনের-ইসি সম্মতির বাইরে তাদেরকে ডেকে সভা না করতে নির্দেশনা পাঠাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠক শেষে একথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করা হয়েছে-বিএনপির এমন অভিযোগের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিলো নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে এক চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঢাকায় ডেকে আনে কমিশন। ওই দিনই রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফিরে যাবার পথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদেরকে ডেকে নিয়ে বিফিং করা হয়, যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুযায়ি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই চিঠি দেয়ার পরই এমন নির্দেশনা আসলো ইসির পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মঙ্গলবার কমিশন একটি নির্দেশনা দিয়েছে। সবগুলো বিষয় মিলে সরকারকে একটা পত্র দেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন- ভবিষ্যতে যাতে পত্রপত্রিকায় বা (যেসব) অভিযোগ আসছে তা যেন আর না করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রশাসন ইসির অধীনে থাকায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানান তিনি।
সচিব বলেন, রিটার্নিং অফিসার যেহেতু ইসির অধীন; সুতরাং তাদেরকে যাতে অন্য কোনোভাবে ডেকে সভা না করা হয়-এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কনসার্ন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।