২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে সমালোচনা করেছিল বিরোধীপক্ষ। শিক্ষা আর প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও ‘জিজিটাল’ নামকরণের মধ্য দিয়েই নতুন পরিচয় মেলে বাংলাদেশের। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনী আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্লোগান নিয়ে জানতে চাওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের কাছে। সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও।
ফারুক খান বলেন, এবারে নির্বাচনী স্লোগান হতে পারে ‘গ্রাম হবে শহর’। তবে স্লোগানের শব্দ বা ভাষার পরিবর্তন আসতে পারে। মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই নির্বাচনী ইশতেহার আর স্লোগান প্রকাশ করা হবে।
স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন সুবিধার বণ্টনে সমতা আনতেই এবারে গ্রামকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। ছোট দেশে অধিক মানুষের বাস। শহর থেকে গ্রামকে আলাদা করে ভাবলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না।
গত দশ বছরে শেখ হাসিনারে নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে ‘বাংলাদেশ’এক বিষ্ময়ের নাম বলে পরিচিতি পেয়েছে -যোগ করেন ফারুক খান। ইশতেহার প্রসঙ্গে বলেন, বিগত দুই নির্বাচনে যে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছিল, তার অধিকাংশই আজ বাস্তবায়িত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপ দিতেই এবারে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
ফারুক খান বলেন, ইশতেহারে গত ৫ বছরের সরকারের কর্মকাণ্ড, আগামী ৫ বছরের বাংলাদেশ এবং ১শ’ বছরের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে নানা বিষয় গুরুত্ব পাবে। ব্লু ইকোনোমি (সামদ্রিক সম্পদ) সংরক্ষণ এবং এর ব্যবহার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে ইশতেহারে।
তরুণদের সমর্থন পেতে এবারের ইশতেহারে কমসংস্থানের বিষয়টিও অধিক গুরুত্ব পাবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
কবে নাগাদ ইশতেহার ঘোষণা হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইশতেহার ঘোষণা হতে পারে। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেই ইশতেহার চূড়ান্ত করা হবে। তবে ইশতেহারের খসড়া হয়ে গেছে।