জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড : সৌদি যুবরাজের জবাবদিহিতা চায় থেরেসা মে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড এবং ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের বিষয়ে এবারের জি-২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করার আগে সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন থেরেসা মে।  খবর আল জাজিরা’র।

সাংবাদিকদের মে বলেন, সৌদির ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠক করার ইচ্ছা পোষণ করছি। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা শুধু তাই নয় ইয়েমেন ইস্যু নিয়েও আমি যে বার্তাটি দিব সেটি খুব পরিষ্কার।

universel cardiac hospital

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মে বলেন, কি হয়েছিল সেটি জানার জন্য আমরা একটি পরিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই এবং অবশ্যই এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হোক।

এ ছাড়া ইয়েমেন সঙ্কট নিয়ে মে বলেন, ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একটি রাজনৈতিক পরিস্থতিই ইয়েমেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। আমরা এই বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য এবং এ নিয়ে কাজ করার জন্য সকল দলকে উৎসাহ দিব ।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব ও দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পর আর বের হননি। তুরস্ক প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল জামাল খাশোগিকে হত্যা করেছে ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল । তবে এ নিয়ে প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে খাশোগি হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় সৌদি সরকার। এ ঘটনায় বেশ আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে ইয়েমেন যুদ্ধে গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইয়েমেনে হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে সৌদি সম্মিলিত বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার সৌদিকে ইয়েমেনে যুদ্ধ বিরতির আহবান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এর একদিন পরেই এমন হামলা চালালো সৌদি সম্মিলিত বাহিনী।জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইয়েমেন যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৮ লাখ মানুষ সেখানে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। বলা হচ্ছে সৌদি আরবের এমন আগ্রাসী আচরণের পেছনে কাজ করছে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে