স্বামীর তুলনায় রওশন এরশাদের ‘সম্পদ বেশি’

ডেস্ক রিপোর্ট

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাসিক আয় নয় লাখ তিন হাজার ৫১৭ টাকা। আর তার চেয়ে স্ত্রী রওশদ এরশাদ বেশি বিত্তশালী। কারণ, সম্পদ যা আছে, তার মধ্যে স্ত্রীর নামেই বেশি। সাবেক রাষ্ট্রপতির ব্যাংকঋণ আছে দুই কোটি ৩২ লাখ চার হাজার ৬৩৫ টাকা।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় এরশাদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি রংপুর-৩ আসনের পাশাপাশি ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন।

universel cardiac hospital

হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন ‘বিএ পাস’। ছয়টি ফৌজদারি মামলার আসামি। এর মধ্যে দুটি বিচারাধীন, চারটি স্থগিত। অতীতে ২৭টি মামলা ছিল। যার মধ্যে ১৩টিতে খালাস, পাঁচটি থেকে অব্যাহতি, একটিতে তিন মাসের সাজাভোগ ও জরিমানা দিয়ে নিষ্পত্তি করেছেন। আর চারটিতে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন।

পেশার বিবরণীতে এরশাদ কিছু না লিখে নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ বেশি :
এরশাদ ব্যবসা থেকে বছরে দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিশেষ দূতের সম্মানী বাবদ ১৯ লাখ চার হাজার ৬৯৬ টাকা, সংসদ সদস্যের সম্মানী হিসেবে ১২ লাখ ৬০ হাজার, ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী হিসেবে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা আয় করেন। এই হিসাবে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় নয় লাখ তিন হাজার ৫১৭ টাকা ১৭ পয়সা।

অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে হাতে নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা ও স্ত্রীর হাতে নগদ ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা।

স্ত্রীর নামে জমা আছে সোনালী ব্যাংকে ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ২২ টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৯১ টাকা।

কোম্পানির শেয়ার আছে নিজের নামে ৪৪ কোটি ১০ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার। নিজের নামে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর, ডিপিএস ৯ লাখ টাকা আছে।

স্ত্রী রওশনের নামে তিন কোটি দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার এফডিআর, সেভিংস সার্টিফিকেট ৬০ লাখ টাকা, সেভিং স্কিম চার কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৭ টাকা এবং বিনিয়োগ আছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্ত্রীর ১০০ ভরি সোনা আছে।

নিজের নামে কৃষিজমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রংপুরে ৩৩ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ এবং ঢাকার পূর্বাচলে ১৮ লাখ টাকার সাড়ে সাত কাঠা জমি আছে।

নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র আছে। আর স্ত্রীর নামে ১৫ লাখ টাকা। নিজ নামে ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা ও জমি বিক্রয় দুই কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।

বনানীতে নিজের নামে ৭৭ লাখ টাকার শপিং কমপ্লেক্স আছে। বারিধারায় ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, বনানীতে ৪৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে ৬২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে। আর স্ত্রীর নামে গুলশানে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ও ফ্ল্যাট গুলশান মডেল টাউনে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকার জমি দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ আছে দুই কোটি ৩২ লাখ চার হাজার ৬৩৫ টাকা।

###

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে