একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রমে গতকাল রোববার যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আজ সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করতে পারছেন। ইসি তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।
বাতিল হওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আপিল গ্রহণ শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে।
প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত ২২ জন আপিল করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ থেকে মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ থেকে আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ থেকে খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এস এম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান।
এক শতাংশ ভোটার না থাকায় চারজন, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নের জন্য তিনজন, লাভজনক পদে থাকার জন্য সাতজন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় একজন, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় একজন, ঋণ খেলাপির অভিযোগে দুজন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন এবং অন্যান্য কারণে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া ইমরান এইচ সরকার এদিন সকালে ইসিতে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু আপিল না করে ইসি ভবন ত্যাগ করেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলের নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
আপিলের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ২ হাজার ২৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ছয় জেলায় দাখিল হওয়া ৪৭৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১১৬টিই বাতিল হয়েছে।