তারেকের পরামর্শে বিএনপির দেড়শ একক প্রার্থী চূড়ান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নীতিনির্ধারকরা প্রার্থী যাচাই-বাছাই করে অন্তত দেড়শ’ আসনে একক প্রার্থীকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা যায়, লন্ডনে চিকিৎসাধীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শেই এ সিদ্ধান্ত নেন নীতিনির্ধারকরা।

দলের একক প্রার্থীকে আজ থেকে চিঠি দেয়া শুরু করবে বিএনপি। রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বুধবার সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অন্তত দেড়শ’ আসনে একক প্রার্থীর তালিকা করা হয়েছে। ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা যেসব আসন চেয়েছে এ তালিকায় সেসব আসন নেই। একক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র না দিয়ে অধিকাংশ আসনেই একাধিক মনোনয়নপত্র দেয় বিএনপি।

যাচাই-বাছাইয়ে ১৪১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলও হয়। তবে এদের সবাইকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে অনেকে ইতিমধ্যে ইসিতে আপিলও করেছেন। এর মধ্যেই একক প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য মত ও পথকে বলেন, সরকার চায় না আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকি। কিন্তু গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে লড়তে চাই। এবার আর সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে উত্তীর্ণ হওয়ার পর জনপ্রিয় ও যোগ্যতা বিবেচনায় বাকি আসনে ৮ ডিসেম্বর একক প্রার্থীকে চিঠি দেবে বিএনপি।

এছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিকদের আসন বণ্টন মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে আরেক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে এখনও আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি।

তবে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই দল, জোট ও ফ্রন্টের ধানের শীষের একক প্রার্থী তালিকার চিঠি দেয়া হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।

বিধি অনুযায়ী বিএনপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে যাকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কথা বলবে সেই হবে বিএনপি বা জোটের প্রার্থী।

বাকিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্বাচন করা থেকে বাদ পড়বেন। ১০ ডিসেম্বর সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

এছাড়াও সম্প্রতি এক বৈঠকে ৬টি শূন্য আসনে আওয়ামী লীগ বা তাদের মহাজোটের বাইরে অন্য কোনা দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়। অথবা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে দলীয় চিঠি দিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া যায় কি-না তা নিয়েও বিস্তারিত কথা হয়।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে