একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে ২৩৪ জন আপিল করেছেন।
আপিলের জন্য নির্ধারিত তিন দিনের সময় শেষ হচ্ছে বুধবার।
দুইদিনে এ পর্যন্ত ৩১৮ জন আপিল করেছেন। কয়েকটি আসনে প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে আদালতের রায়ে দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফেরাতে বুধবার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।
ফেনী ও বগুড়ার তিনটি আসনে তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা সবকটি মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা শেষ পর্যন্ত আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন।
গত ২ ডিসেম্বর সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বাছাই করে ৭৮৬টি অবৈধ ঘোষণা করেন। এরমধ্যে বেশিরভাগ মনোনয়নই বিএনপি মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে জমা পড়েছিল।
এর আগে ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত ৩০০ আসনে তিন হাজার ৬৫টি জমা পড়ে। বাছাইয়ের পর সব মিলিয়ে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ২৭৯।
এরমধ্যে নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দুই হাজার ১৬৫, বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ১১৪।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ২৩৪ জন আপিল করছেন। বিভাগওয়ারি হিসাবে রংপুরে ২৭, রাজশাহীতে ২২, ঢাকায় ৬৮, বরিশালে ১২, সিলেটে ১৫, ময়মনসিংহে ১৬, খুলনায় ১৮ ও চট্টগ্রামে ৫৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
আপিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন- পটুয়াখালী-১ আসনের জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নাটোর-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নেত্রকোনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ করিম আব্বাসী, বরিশাল-২ আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সোহেল রানা প্রমুখ।
এর আগে সোমবার নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রের বৈধতা পেতে ইসিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনিসহ ৮৪ প্রার্থী আপিল করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার থেকে কমিশন এসব আবেদনের শুনানী শেষে নিস্পত্তি করবেন।