জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় (সম্প্রসারিত ২৩ দল) জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি বিএনপির।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বাকি মাত্র দুদিন।এখনও বিএনপি ও তাদের জোটের দলগুলো জানে না কে কতটি আসন পাচ্ছে। নেতারা জানেন না কে কোন আসনে ভোট করছেন।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর টিকে যাওয়া বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া ৫৫৫ জন প্রার্থীর বেশিরভাগই নিজেদের আসনে নির্বাচন করা নিয়ে অন্ধকারে। তারা জানেন না কে শেষ পর্যন্ত থাকছেন নির্বাচনে, আর কাকে মাঠ ছেড়ে দিতে হবে।
জোটের শরিকদের মধ্যে যারা নিজ নিজ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তারাও বলতে পারছেন না শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকা হবে কিনা। নাকি বিএনপির প্রার্থীর জন্য মাঠ ছেড়ে দাঁড়াতে হবে।
সব মিলিয়ে মনোনয়ন ঠিক করতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলে মোট ২৭টি দল রয়েছে। বিএনপি চাইছে দুটি জোটকে ৫০-৫৫টি আসন দিতে। যদি তাতে রাজি না হয়, তবে সর্বোচ্চ ৬০টি আসন দেয়া হবে।
তবে নিজেদের প্রার্থীকে যোগ্য দাবি করে আরও আসন চাইছে জোটের শরিকরা। আওয়ামী লীগ শরিকদের ৭০টির মতো আসনে ছাড় দেয়ায় চাহিদা বেড়েছে বিএনপির শরিকদের।
এই যখন অবস্থা, তখন আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক বসছে। এ বৈঠকে চূড়ান্ত ফয়সালা হবে কে কতটি আসন পাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা গুছিয়ে আনা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, আজ বিকালে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে আসন বণ্টনসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তিনি জানান, আসন বণ্টন নিয়ে মোটামুটি একটা রফা হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অথবা শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।