জামায়াত ও বিএনপির সঙ্গে কখনো ঐক্য করব না : বি চৌধুরী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দলটির সঙ্গে আর কখনো কোনোভাবেই ঐক্য করবেন না ।

গত অক্টোবরেও জোটের আলোচনা চালিয়ে পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যাওয়া এই নেতা বলেছেন, ‘বিএনপির সাথে নো অ্যান্ড নেভার।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা এলাকার নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে চার দিনব্যাপী সভায় এ কথা বলেন।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠার সময় মহাসচিব হন বি. চৌধুরী। তার বাবা কফিলউদ্দিন ছিলেন আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতা।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বি.চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। তবে ২০০২ সালের ২১ জুন অসম্মানজনকভাবে অপসারণও করা হয় পদ থেকে। পরে ২০০৪ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন নিজ দল বিকল্পধারা। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এই দল যায় আওয়ামী লীগের মহাজোটে। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা বাদ পড়ে যায় মহাজোট থেকে।

সম্প্রতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে, সেখানে যাওয়ার কথা ছিল বি. চৌধুরীরও। এ জন্য বেশ কয়েকদফা আলোচনাও চালিয়ে যান তিনি। তবে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার শর্ত দিয়ে বাদ পড়ে যান এই জোট থেকে। এরপর তিনি ভেড়েন আওয়ামী লীগের জোটে।

বিএনপির সমালোচনা করে বি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সুন্দর মানচিত্রকে যারা শ্রদ্ধা করতে জানেন না, মুক্তিযুদ্ধকে যারা মন থেকে স্বীকৃতি দেয় না, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা এই মাটিকে যারা চুমু দিতে দ্বিধাবোধ করে, তাদের সাথে কিছুতেই রাজনীতি করব না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিরোধী জামায়াত ও বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করব না, বিএনপির সাথে নো অ্যান্ড নেভার।

বিকল্পধারার চেয়ারম্যান এ সময় ছেলে সাবেক সাংসদ মাহী বি চৌধুরীকে নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মাহীকে খুব স্নেহ করেন। তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন আমরা আনন্দিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নৌকার সম্মান রক্ষা করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, বি চৌধুরী মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির হয়ে ধানের শীষে ভোটে লড়তেন। এই আসনে এবার নৌকা নিয়ে ধানের শীষের বিপক্ষে লড়বেন তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী।

সভায় মাহী ছাড়াও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে