অবসরপ্রাপ্ত ৩২১ কর্মকর্তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একাত্মতা প্রকাশের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলেও জানান তারা।
এর আগে, ২৭ নভেম্বর ১৪৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বর্তমান সরকারের প্রতি একাত্মতাও প্রকাশ করেন।
ওই সময় বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, গণভবনে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ফের ক্ষমতায় আনতে অবসরপ্রাপ্ত ৩২১ বেসামরিক কর্মকর্তা একসঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
অবসরপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ৬৫ জন সাবেক মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব, সচিব ও বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা রয়েছেন।
এছাড়া নয়জন সাবেক রাষ্ট্রদূত, ৪৫ জন সাবেক অতিরিক্ত ও যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার, ১৪ জন স্বাস্থ্য ক্যাডার, ১৫ জন শিক্ষা ক্যাডার, ২৭ জন প্রকৌশলী, ১১ জন বন ও ডাক বিভাগের, ১৪ জন সাবেক পুলিশকর্মকর্তা, ১৩ জন কর ও তথ্য বিভাগের, ১১ জন টেলিকম, শুল্ক, অডিট, রেল ও খাদ্য বিভাগের এবং ৬৭ জন কৃষি বিভাগের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান, অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহ উদ্দিন, মো. মেজবাহ উল আলম, ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব আবু জাহের, হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, মাহবুব উল আলম খান, শৈলৈন্দ্র নাথ মজুমদার, আবদুল মালেক মিয়া, দেওয়ান জাকির হোসেন, সুনীল কান্তি বোস, সৈয়দ আলী কবির, শেখ খুরশিদ আলম, আতাহার উল ইসলাম, সমরচন্দ্র পাল, মো. নুরুল হক, আ. মান্নান হাওলাদার, এ টি কে এম ইসমাইল, মো. শফিকুল আযম, কামরুন নেসা খানম, মো. মিজানুর রহমান, খোন্দকার আসাদুজ্জামান, মো. কাজী আনোয়ার হোসেন, আরস্তু খান, এম এ কাদের সরকার, ড. চোউধুরী মো. বাবুল সরকার, এ এইচ এম মাসুদ সিদ্দিকী, মো. আজিজুর রহমান, শফিক আলম মেহেদী, আজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, এ এল এম আব্দুর রহমান, মো. হুমায়ুন খালিদ, আনোয়ার ফারুক, শাহীন খান, মো. মন্সুর আলী শিকদার, রীতি ইব্রাহিম, নজরুল ইসলামখান, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, মিকাইল শিপার, খোরশেদ আলম চৌধুরী, এম এ মান্নান, এ কে এম আমির হোসেন, নুরুন নবী তালুকদার, ফখরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, সিরাজুল ইসলাম, শ্যামল কান্তি ঘোষ, এ এম বদরুদ্দোজা, শিরিন আখতার, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, কায়কোবাদ হোসেন, আবু মোহাম্মদ মোস্তফাকামাল, নাজমুল ইসলাম, মমতাজ আলা শাকুর আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, অশোক মাধব রায়, ড. প্রশান্ত কুমার রায়, পিএসসির সাবেক সদস্য কাজী নাসিরুল ইসলাম, মো. অয়াজেদ আলী খান, এ এল এম আব্দুর রহমান, মো. জহুরুল আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ টি এম নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. আজিজুল হক, গোলাম মোস্তফা, মো. আন্দুল হান্নান, আতিকুর রহমান, ইকতিয়ার চৌধুরী, ওয়াহিদুর রহমান, আ. সাত্তার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জি কে নুরুল আমিন, শাহ মো. মনসুরুল হক, ফজলুল আহাদ, ইয়াহিয়া চৌধুরী, মুজিবর রহমান, ভীমচরন রায়, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, স্বপন কুমার সরকার, প্রণব কুমার চক্রবর্তী, আব্দুল জলিল মিয়া, নুর হোসেন তালুকদার, বজলুল হকবিশ্বাস, ইমদাদুল হক, ফিরোজ মিয়া, রতন কুমার রায়, নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, আব্দুল হামিদ, নাজমুল হাই, নিশীথ কুমার সরকার, বিজন কুমার বৈশ্য, মো. মনিরুজ্জামান, হরিমানিক্য দত্ত, মো. হযরত আলী, এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম এন আব্দুল ওয়াহাব, রীতা সেন, দীলিপ কুমার বসাক, সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, পরিমল দেব, তথেশ চন্দ্র পোদ্দার, বজলুর রহমান, পুণ্যব্রত চৌধুরী, মানবেন্দ্র ভৌমিক, মঈনুদ্দিন কাজল, সুলেন রায়, আব্দুল হান্নান শেখ, বাবুল চন্দ্র রায়, মনোজ কুমার রায়, খন্দকারআখতারুজ্জামান, মো. আনছার আলী খান, খিজির আহমেদ, আকতার উজ্জামান, ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী, কাজী আব্দুল নুর, নুরুল ইসলাম, অমিত কুমার বাউল, ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, মো. সামসুজ্জামান, ড. মো. মাহমুদুর রহমান, কফিল উদ্দিন, মো. শওকত আকবর, সাবেক যুগ্ম সচিব আবদুল হাই, সাহেব আলী মৃধা, মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, ইকবাল হোসেন খান, মো. শাহজাহান মিয়া, আখতারুল আলম খান, ইফয়েখার আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, এ কেএম সালাম, মো. ইছাহাক মিয়া, সোহরাব হোসেন শেখ, আলী আহমেদ, শফিকুর রহমান, প্রশান্ত কুমার দাস, আবু ইউসুফ, শামসুল করিম ভূঞা, ১৯৭৩ সালের প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়া ও ইকবাল হোসেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মুনির হোসেন ও ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুভাষ কুমার সাহা ও ডা. ইহতেশামুল হকচৌধুরী, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশালের সাবেক পরিচালক ডা. কামরুল হাসান সেলিম, রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. এ কে এম জাফর উল্লাহ, ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির সাবেক অধ্যক্ষ ডা. জালাল আহমেদ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. কার্তিক চন্দ্র দাস, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. জসীম উদ্দীন খান, স্বাস্থ্য পরিচর্যার সাবেক পরিচালক ডা. সৈয়দ আবু জাফর মো. মুসা, চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সাবেক অধ্যাপক আভা হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ, মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. এম এ হামিদ।
শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা প্রফেসর মো. নোমানুর রশীদ, প্রফেসর মো. আনুল কাশেম মিয়া, প্রফেসর ড. রাম দুলাল রায়, প্রফেসর ড. আয়েশা বেগম, প্রফেসর আ. সালাম হাওলাদার, প্রফেসর আবু হায়দর আহমেদ নাসের, প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, প্রফেসর মো. সাদেকুর রহমান, প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আহমেদ, প্রফেসর আমিনাখাতুন, প্রফেসর তসলিমা বেগম, প্রফেসর আ ক ম সাখাওয়াত হোসেন, প্রফেসর দীপক কুমার নাগ, প্রফেসর দিলারা হাফিজ, প্রফেসর মিয়া লুতফর রহমান।