বাংলাদেশের সামনে আজ ২৪তম সিরিজ জয়ের হাতছানি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চতুর্থ। প্রথম ম্যাচ জিতে অনেকটাই ফুরফুরে বাংলাদেশ শিবির। মিরপুরে গতকাল সোমবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে এসেছিলেন প্রথম ম্যাচে খেলা সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। মাশরাফি ও মুস্তাফিজুর রহমান এসেছিলেন জিম করতে। বাকিরা ছিলেন বিশ্রামে। একাদশের বাইরের সকল খেলোয়াড়কে নিয়ে ঘাম ঝরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ধরে রাখার পক্ষে বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচেও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারেন মাশরাফিরা। পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মাঠের ফলাফলেও পরিবর্তন চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। আরেকটি জয়ের অপেক্ষায় গোটা বাংলাদেশ। আরেকটি সিরিজ জয়ের অপেক্ষায়।
এদিকে প্রশ্ন ওঠেছে, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবারই কি তাহলে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ?
এ নিয়ে অনেক যদি-কিন্তু রয়েছে। রয়েছে নানা গুঞ্জন। মাশরাফি তো নিজেও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বিশ্বকাপের পর পর্যালোচনা করার সুযোগ দেখছেন অধিনায়ক। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে এটাই দেশের মাটিতে বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। তাই সিরিজটি অনেকটাই হয়ে উঠেছে মাশরাফিময়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল তার মাইলফলকের ম্যাচ। তার ২০০তম ওয়ানডে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন মাশরাফি। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তার ১২তম ম্যাচসেরা হওয়া ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার তার হাত ধরে আরেকটি সিরিজ জয়ের হাতছানি।
দ্বিতীয় ম্যাচেও মাশরাফি মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায়। ওয়ানডেতে হাবিবুল বাশার সুমন বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাশরাফি মিরপুরে আজ টস করতে নামলেই ছুঁয়ে ফেলবেন হাবিবুলকে।
আবার বাংলাদেশের ‘পঞ্চপাণ্ডবের’ জন্য ম্যাচটি বিশেষ কিছু। এ ম্যাচ দিয়ে মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ একসঙ্গে একশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়বেন। তাই দ্বিতীয় ম্যাচেও মাশরাফিকে আলাদা করা যাচ্ছে না কিছুতেই।
২০১৫ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়। মাশরাফির হাত ধরে ওই বছর ঘরের মাঠে ৪টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ মঙ্গলবার জিতে গেলে চলতি বছরের তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৬ সালেও জিতেছিল ৩ সিরিজ।