একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে ২৪ অথবা ২৬ ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশন (ইসি)এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেনাবাহিনী ৯ অথবা ৭ দিনের জন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সেনা মোতায়েন হলে তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনে কত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন, তা ঠিক করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে কমিশন।
নির্বাচন ভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মহাপরিচালক বা তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
চিঠির অনুলিপিনির্বাচন কমিশন প্রথমে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করেছিল। বর্তমানে ৭ থেকে ৯ দিনের জন্য মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এক্ষেত্রে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
উপজেলা সদরে স্ট্রাইকিং ফোর্স সেনা সদস্যদের রাখার কথা রয়েছে। তবে কোনো সমস্যা হলে তারা নিজেরাই নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবেন, এমন নির্দেশনাও থাকবে।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখতে হবে। চিঠিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে- আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে থেকে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে ২৪-২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটেলিয়ন আনসারের মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে।
এলাকাভিত্তিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।