আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ধরণের সরকারি সুযোগ-সুবিধা না নিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করলেন।
গতকাল বুধবার তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। এরপর বিকালে কোটালীপাড়ার জনসভায় ভাষণ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ফেরার পথে সাতটি পথসভায় অংশ নেবেন তিনি। তার এ পুরো কর্মসূচি পালন করছেন তিনি সড়ক পথে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনার জন্য জার্মানি থেকে আনা বুলেট প্রুফ দুটি মার্জিডিজ বেঞ্চের একটিতে চড়ে তিনি এবার নির্বাচনি সফর করছেন। সফরে স্থানীয় প্রশাসনের প্রটোকল নেননি তিনি। থেকেছেন পৈত্রিক বাড়িতে। নেই নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি। আর যে নিরাপত্তা সুবিধা নিচ্ছেন সেটাও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে নেই মন্ত্রীদের সরকারি গাড়ির বহর। সফরসঙ্গী হিসেবে নেই কোনো সরকারি কর্মকর্তা। সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা ব্যবহার করছেন যার যার নিজের গাড়ি। সফরসঙ্গী দলের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের খরচও বহন করছে দল। তাদের থাকা-খাওয়া এবং দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তা খুরশীদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি আচরণবিধি এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অংশ হিসেবে কোনও ধরণের সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই এ সফর করছেন। তার এ সফর আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে দল।
দীর্ঘদিন পর সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় এলেন প্রধানমন্ত্রী। বিপুল জনস্রোতের মধ্য দিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাট হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা দিয়ে গোপালগঞ্জে প্রবেশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বহরে গাড়ির দীর্ঘ সারি থাকলেও এর অধিকাংশই ছিল ব্যক্তিগত।
প্রসঙ্গত, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। ফেরার পথে ফরিদুপরের ভাঙ্গার মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ি মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্টান্ড এবং সাভার বাসস্টান্ডে পথসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।