বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এই তথ্য উপস্থাপন করেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ‘জাপান–বাংলাদেশ পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি’ সংক্রান্ত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হরিগুচি। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বিগত এক দশকে বাংলাদেশে অর্জিত উন্নয়নের ধারা আগত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি এ সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি, শিক্ষার হার, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি তথ্য উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতি এবং গড় প্রবৃদ্ধি শতকরা সাত ভাগের বেশি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং মাছ ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়।
তিনি বাংলাদেশের খাত ভিত্তিক উন্নয়ন চিত্র সবাইকে অবহিত করেন এবং দেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বর্ণনা দেন।
জাপান–বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ–সুবিধা এবং সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিগুলো সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরেন, তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতি, দেশে বিদ্যমান ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) ঢাকার প্রতিনিধি তাইকি কোগা।
এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ‘শিপ হেলথকেয়ার’র নির্বাহী পরিচালক হিরোইউকি কোবাইয়াসি এবং ‘শিমিজু কর্পোরেশন’র ঢাকা প্রতিনিধি ইয়াসুশি মিজুশিনা।