মার্কিন সিনেট সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘দায়ী’ করেছে । একইসঙ্গে তারা ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সমর্থন দেয়া বন্ধের প্রস্তাবও পাস করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট সদস্যরা ভোটাভুটিতে একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি বিষয়ের সমালোচনা করল।
এই ভোট মূলত প্রতীকী ছিল। কারণ, এগুলোকে আইন হিসেবে গ্রহণ করতে হলে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে তা পাস করতে হবে। কংগ্রেসের এই কক্ষে রিপাবলিকান নেতারা সৌদির সমালোচনা করার যেকোনো প্রস্তাব আটকে দেয়।
ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপে সিনেটররা ৫৬-৪১ ভোটে সৌদি জোটকে ইয়েমেনের যুদ্ধে সহায়তা বন্ধ করার প্রস্তাব পাস করেন।
এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন। যুদ্ধের কারণে সেখানে সৃষ্ট বিপর্যয়কে ‘ভয়াবহতম মানবিক সঙ্কট’বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।
ইয়েমেনের যুদ্ধের বিষয়ে ভোটাভুটির পরই সিনেটে আরেকটি প্রস্তাব পাস হয়, যাতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে খাসোগির হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় কলাম লিখতেন। গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তাকে হত্যা করে সৌদিরই ঘাতকরা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সালমানকে দায়ী করলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নিন্দা করতে অস্বীকার করেছেন।
রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট একযোগে বলেছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খাসোগির হত্যার জন্য দায়ী। এটা খুবই শক্তিশালী একটা বক্তব্য। আমাদের প্রিয় মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই বিবৃতিতে ।
বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কর্কারই এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।