১৬ ডিসেম্বর, আজ আমাদের মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মৃতিবিজড়িত দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির দিন। ১৯৭১ সালে এদিন দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন একটি দেশ, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বিজয়ের এ দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে রাজধানী ঢাকাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় রঙিন ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে বিশাল এক লাল-সবুজের পতাকায়। রাত ১২টা বাজতেই বিজয় আনন্দে মেতে উঠে বাঙালি জাতি, পুরো দেশ।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক, স্থাপনা, অফিস-আদালতে করা হয়েছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। সন্ধ্যার পর লাল সবুজের আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে এলাকাগুলো। আলোকসজ্জায় রঙিন ঢাকা যেন পরিণত হয় একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায়।
রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন রঙের ও বর্ণের এসব আলোকসজ্জা উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মনকাড়া এমন আলোকসজ্জায় মুগ্ধ অনেকেই।
ব্যাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর ভবনে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ভবনে বাতির ঝলমলিয়ে ফুটে উঠছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, সামনে স্মৃতিসৌধ এর এক পাশে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধারা অন্যপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীকী ছবি।
এ ছাড়াও মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, জীবন বীমা ভবনসহ বড় বড় স্থাপনা সাজানো হয়েছে। রাস্তার দুপাশের গাছে গাছে বাহারি আলোকরশ্মি। সাদা, লাল, নীল, সোনালী- হরেক রঙের মরিচবাতি।
রাজধানীর এ আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ কর্মব্যস্ত মানুষ। অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেনে, অনেকে আবার সুন্দর এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আলোকসজ্জা দেখছিলেন ব্যবসায়ী কলিমুল্লাহ সাদী। তিনি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর বাঙালির সম্মান ও মর্যাদার মাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি লাল সবুজের পতাকা ও একটা দেশ পেয়েছি। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা দেখতে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।