টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচনী প্রচারে হামলার পর তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন করছেন।
রোববার রাতে তাঁবু টানিয়ে কার্যালয়ের সামনেই শুয়ে পড়েন তিনি। রাত ১০টায় এ খবর লেখার সময় লতিফ সিদ্দিকী সেখানেই ছিলেন।
এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়া ইউনিয়নের সড়াতৈল এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হয়। এসময় গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন লতিফ সিদ্দিকী জেলা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিন দফা দাবি ঘোষণা করেন।
তার দাবিগুলো হলো- কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর লিখিত প্রতিশ্রুতি।
৩ দফা দাবির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়ে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে। এতে আশস্ত হয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।
কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর ইন্ধনে আমার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এসময় আমার গাড়িসহ আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলে আমার কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।