আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ যখন ভালো আছে, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে তারা স্বেচ্ছাচারিতা বলছে। দেশের ভালো চাওয়া এবং দেশের মানুষের ভালো থাকা যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয় তাহলে তারা কী চান? তারা যে পরিবর্তনের কথা বলছেন তাহলে তারা ক্ষমতায় গেলে আবার লুটপাট, আবার অগ্নিসংযোগ, আবার মানিলন্ডারিং, আবার দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, আবার ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ, আবার গ্রেনেড হামলা, আবার বাংলা ভাই সৃষ্টি, আবার এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা যায় সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবেন?
প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকগুলো দল একত্রিত হয়ে ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচন গেছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের সরকার প্রধান কে হবেন এখন পর্যন্ত তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, না রাজাকার-আলবদর নেতা, না একুশে গ্রেনেড হামলার আসামি-কে হবেন তাদের সরকার প্রধান, তা তারা এখনো স্পষ্ট করতে পারেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরও পাঁচটি বছর এ সরকারের ক্ষমতায় থাকা একান্ত প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সমাজে যারা তত্ত্বকথা বলে, যারা নিজেকে খ্যাতনামা আইনজীবী বলে দাবি করেন, যারা নিজেরা দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেন, তারা আজ দিকভ্রষ্ট, নীতিভ্রষ্ট, আদর্শহীন। এরা বাংলাদেশের আদর্শকে বিশ্বাস করে না। এরা আবার একত্রিত হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন বিজয় দিবস উদযাপন করা যেত না। এরা ক্ষমতায় এলে আবার আগের অবস্থা সৃষ্টি হবে। যারা আদর্শচ্যুত হয় তারা কখনোই দেশের ভালো করতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের শাসন মানুষ দেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তারা আবার নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।