টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে সিরিজটাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে নিয়েছে টাইগাররা। সেই স্মৃতি নিয়ে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি বাংলাদেশ দল।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে আজ দুপুরে টি-টোয়েন্টির রাজাদের বিপক্ষে নামছে সাকিব আল হাসানের দল।
সিলেটে বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরাবরই শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ফরম্যাটে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আজ নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিততে পারলে সেটা শিরোপাত্রয়ী জয় হবে টাইগারদের।
এর আগেও শিরোপাত্রয়ী জেতার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সব জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জেতা হয়নি। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি জিতলেও টেস্টের ট্রফিটা হারাতে হয় ১-০ ব্যবধানে।
এ বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরে গেলেও পরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতে আসে। তবে এবার ঘরের মাঠে সেই কাঙ্খিত শিরোপা জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। নিজেদের আঙ্গিনায় ষোল কলা পূরণের সুযোগ মাশরাফি-সাকিবদের।
শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা দলের ব্যালেন্স ও শেষ দুটি সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ আর লিটন দাসের মতো দলে একঝাঁক ইন-ফর্ম খেলায়াড় আছেন যা দলকে শক্তিমত্তায় এগিয়ে রাখছে। এছাড়া দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল দলে ফিরে ফর্মের কথা জানান দেওয়ায় ভরসার জায়গা বাড়ছে বাংলাদেশের। এছাড়া বোলিংয়ে মুস্তাফিজ, মিরাজ ও নাজমুল ইসলামদের বোলিংয়ে ক্যারিবীয় বধের ছক কষছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অতীত সাফল্যের থলে ভরপুর হলেও শেষ পাঁচ ম্যাচের মুখোমুখি পরিসংখ্যানের দিকে তাকলে ভরসা পেতে পারে বাংলাদেশের সমর্থকরা। শেষ ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিকে দেখলে অবশ্য দুই দলকেই সমান অবস্থানে দেখা যাবে। দুই দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে, একটিতে কোনো ফল আসেনি। তবে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই উইন্ডিজকেই ২-১ ব্যবধানে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে টাইগারদের। এটা সাকিবদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।