বিএনপি আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে ১৯ দফার এ ইশতেহার ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০-এর আলোকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি।
বিএনপির ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর।
এবারের ইশতেহারে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। দলটি নির্বাচিত হলে একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করবে।
মন্ত্রীসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেবে বিএনপি। এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করবে বিএনপি।
শিক্ষার ওপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত বেকারদের ভাতা দেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, শিক্ষার মানোন্নয়নের ঘোষণাসহ তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণে ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আগামী ৫ বছর প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। সাংগঠনিক কাঠামো সংস্থার কাজে আগামীতে অব্যাহত থাকবে।
পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার ঘোষণা এসেছে বিএনপির ইশতেহারে।
এবারের ইশতেহারে তরুণ প্রজন্মের ভোটার টানতে তাদের বিভিন্ন চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের সাম্প্রতিককালের দাবি- কোটা সংস্কার, ভ্যাটমুক্ত শিক্ষা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে বলে লিখিত ইশতেহারে জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে ও এক কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
ইশতেহার ঘোষণার সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, গতকাল সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৩৫ দফার ইশতেহার ঘোষনা করে। এতে দেয়া হয় ১৪ প্রতিশ্রুতি।