একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসর একটি।
এই আসনের ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ২৮৮টি ইভিএম বিতরণ করা হয়েছে। তিন বাহিনীর সদস্যদের তত্বাবধানে আজ মঙ্গলবার থেকে এসব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ (মক ভোটিং) করা হবে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি চলবে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে ধারণা তৈরি করতে এই পরীক্ষামূলক ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার নগরীর প্যারেড মাঠে তিন বাহিনীর সদস্যদর হাতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য ২টি করে মোট ২৮৮টি ইভিএম তুলে দেওয়া হয়। এদিনও কয়েকটি কেন্দ্রে স্বল্পপরিসরে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে আজ থেকেই পুরোপুরি পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ চলবে।
কোতোয়ালি থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটাররা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন। ভোটের দিন পরিচয়পত্র নেওয়ার বিধান থাকলেও পরীক্ষামূলক ভোটের সময় সেটা লাগবে না। হাতের ছাপ দিলে সংশ্লিষ্ট ভোটারের যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। তখন ওই ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন।
পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ওইদিনই এসব মেশিন নির্বাচন কার্যালয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের জন্য নতুন করে ইভিএম দেওয়া হবে। প্রতিটি কক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। এর বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য দুটি করে অতিরিক্ত ইভিএম দেওয়া হবে।
তবে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের জন্য যেসব ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেগুলো এখনো চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে ওয়ার্ড আছে ১৪টি। ভোটকেন্দ্র আছে ১৪৪টি। ভোটকক্ষ আছে ৭৪৩টি ভোট। মোট ভোটার তিন লাখ ৯১ হাজার ৬১২ জন। এর মধ্যে দুই লাখ চার হাজার ৪০৩ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৮৭ হাজার ২০৯ জন নারী ভোটার। চট্টগ্রামে শুধু এই আসনেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।