ভারতে শেষ হয়ে গেল আইপিএলের দ্বাদশ আসরের নিলাম। যেখানে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ১০৬.৮ কোটি রূপি খরচ করে ৬০ জন খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে। তার মধ্যে ৪০ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। আর ২০ জন বিদেশি। গড়ে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের পেছনে খরচ হয়েছে ১.৭৮ কোটি রূপি।
ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছেন জয়দেব উনাকাত ও নবাগত বরুণ চক্রবর্তী। তাদের দুজনের মূল্য ৮.৪ কোটি রূপি। উনাকাতকে দলে ভিড়িয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আর বরুণকে দলে ভিড়িয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছেন স্যাম কুরান। ৭.২ কোটি রূপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব। বিদেশিদের তালিকায় ৬.৪ কোটি রূপি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কলিন ইনগ্রাম। ৩৩ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে দলে টেনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
অবিক্রিত থেকেছেন এমন বড় বড় নামের মধ্যে আছে চেতেশ্বর পূজারা, ব্রেন্ডান ম্যাককালাম, আলেক্স হেলস, জ্যাসন হোল্ডার, লুক রনকি ও ডেল স্টেইন। প্রথম রাউন্ডে যুবরাজ সিং ও মার্টিন গাপটিল দল না পেলেও পরের রাউন্ডে পেয়েছেন। ভিত্তিমূলে (১ কোটি রূপি) যুবরাজকে দলে ভিড়িয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর ১ কোটি রূপিতে গাপটিলকে দলে টেনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
গেল বছরের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় জয়দেব উনাকাত এবারও আছেন সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের তালিকায়। এবার অবশ্য তার পাশে আছেন আরো একজন। গেল বছর উনাকাতকে রাজস্থান রয়্যালস ১১.৫ কোটি রূপিতে দলে ভিড়িয়েছিল। এবার তাকে ছেড়ে দিয়ে আবার ৮.৪ কোটিতে দলে টেনেছে দলটি। নিলামে সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ দিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। অচেনা এই রহস্যময় স্পিনারকে ৮.৪ কোটি রূপিতে দলে টেনেছে পাঞ্জাব। বরুণের বলে সাত ধরনের ভেরিয়েশন আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের পাশাপাশি ভারতীয়দের মধ্যে অলরাউন্ডার শিভাম দুবে ৫ কোটি রূপিতে যোগ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে।
৫ কোটির ঘরে আরো আছেন মোহিত শর্মা (চেন্নাই), অক্ষর প্যাটেল (দিল্লি ক্যাপিটালস) ও কার্লোস ব্রেথওয়েট (কলকাতা নাইট রাইডার্স)।
নিলামে ৭০ জন খেলোয়াড়ের স্লট খালি ছিল। তার মধ্যে ৫০ জন ভারতীয় ও ২০ জন বিদেশি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব সবচেয়ে বেশি বাজেট নিয়ে নিলামে এসেছিল (৩৬.২০ কোটি রূপি)। তারা তাদের ২০১৮ সালের স্কোয়াড থেকে ১১ জন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছিল। সে কারণে তাদের ১৫টি স্লট ছিল খেলোয়াড় কেনার। আর সবচেয়ে কম বাজেট ছিল চেন্নাই সুপার কিংস (৮.৪ কোটি রূপি)। তারা তাদের উইনিং স্কোয়াড থেকে মাত্র ২ জন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছিল।
দল গোছানো শেষ। এবার ময়দানি লড়াইয়ের পালা। সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে মার্চ পর্যন্ত।