বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের কারসাজিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনে কারসাজি করতে পুলিশ সদর দপ্তরে দিনে-রাতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে বলেও অভিযোগ তার।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার সারা দেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপির নীলনকশা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। পুলিশ সদর দপ্তরে দিনে-রাতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর আছে, নৌকার বিজয় ছিনিয়ে দিতে পারলে পুলিশের এসি, এডিসি, ওসিদের পদোন্নতি ও নগদ অর্থের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ছাত্রলীগের বাছাই করা দশ হাজারের বেশি ক্যাডারকে ভোটের সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীকে ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, আনসার বাহিনীকে ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, কোস্টগার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবিকে ৩৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং র্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গুঞ্জন আছে, সেনাবাহিনীকে কোনো বরাদ্দ না দিয়ে তাদের ব্যারাকেই রাখা হবে। এটি অশুভ মহাপরিকল্পনার নির্বাচন করারই পূর্বলক্ষণ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ন্যূনতম নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আজই মাঠে নামাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।