সিলেটে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের দলের কাছে রীতিমতো উড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। সাকিবের দুর্দান্ত অল রাউন্ডিং নৈপুণ্য, সাথে বিধংসী লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং। ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
আজ শনিবার তাই তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। আগস্টে বাংলাদেশ খেলেছিল দেশের বাইরে। কিন্তু গ্যালারিতে কমতি ছিল না লাল-সবুজের সমর্থকদের। ফ্লোরিডা ও আশেপাশের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্য থেকে বাংলাদেশিরা গিয়ে জড়ো হয়েছিল ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল রিজওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে। ফলে মিরপুর আর ফ্লোরিডার পার্থক্য ঘুচে গিয়েছিল অনেকটাই।
সেই দর্শকদের অনুপ্রেরণায়ই সেবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল। মিরপুর তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের হোম গ্রাউন্ড। এখানকার দর্শক, এখানকার কন্ডিশন টাইগারদের হাতের রেখার মতো চিরচেনা। সেই অনুপ্রেরণা থাকবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও।
সমতা ফেরানোর ম্যাচের মতো আজকের ম্যাচে কি জিততে পারবে বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক অবশ্য শুনিয়েছেন আশার কথাই, সম্ভাবনা তো আছেই। এই কন্ডিশনটা ওদের চেয়ে আমাদের বেশি পক্ষে থাকা উচিত। আমরা এখানে সব সময় ম্যাচ খেলি, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে আমাদের প্রতিটা খেলোয়াড় অসংখ্য ম্যাচ খেলেছে এখানে। আমাদের কাছে এই মাঠ অনেক পরিচিত।
সাকিবের কথায় উঠে এসেছে দর্শক সমর্থনের বিষয়টিও, সমর্থনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ থাকে মিরপুরে। দর্শকেরা অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করে। আমার কাছে মনে হয় পরের ম্যাচের আগে এটাও অনেক ইতিবাচক একটা দিক।
এদিকে বাংলাদেশ যে আজকে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে তা বোঝা গেল সুনিল যোশী কথাও। বাংলাদেশের এই স্পিন কোচ বলেছেন, বৃহস্পতিবার আমরা দারুণ খেলেছি। খেলার ধরনই কালকে ভিন্ন ছিল। সিলেটের ম্যাচের চেয়ে মিরপুরে আমাদের যে মানসিকতা দেখা গেছে, তা ছিল অসাধারণ। জয়ের পর দল দারুণ চনমনে হয়ে আছে।
মিরপুরকে বাংলাদেশের পয়া ভেন্যুও মনে করেন সাবেক এই ভারতীয় স্পিনার। এখানকার দর্শকদের বিষয়টিও উঠে এসেছে তার কথায়, বাংলাদেশ দলের জন্য মিরপুর দারুণ সৌভাগ্যের ভেন্যু। এখানে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখানকার দর্শকও দলকে প্রবলভাবে অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি বলছি না, সিলেটের দর্শকেরা তা পারেনি। তারাও ভালো ছিল। কিন্তু মিরপুরেই ঘরের মাঠের সুবিধা সবচেয়ে বেশি নিতে পারে বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে মোটেও বিচলিত নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এসেছিলেন কেমো পল।
তার কণ্ঠেও ছিল সিরিজ জয়ের প্রত্যয়, কঠিন একটা সিরিজ যাচ্ছে আমাদের। (টেস্টের পর) ওয়ানডে হারলাম। এখন টি-টুয়েন্টি সিরিজ চলছে। এখনো আমরা আত্মবিশ্বাসী। মাঠে নামব এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব, বিষয়টা এখন এটাই। আমাদের এখন ১১০ শতাংশ দিয়ে খেলতে হবে যদি কাল সিরিজটা জিততে চাই।