ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৭৬ রান তুলে ফেলেছিল। তখন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, অনায়াসে ২০০ পার হয়ে যাবে সফরকারীরা।
তবে শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজ, সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ১৯০ রানে থামল উইন্ডিজ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে দাপুটে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানের জয়ে দুর্দান্তভাবে সিরিজে কামব্যাক করে বাংলাদেশ। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় শিরোপা নির্ধারণী। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে আগে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা করে উইন্ডিজ। ফার্স্ট স্পেলে রেকর্ড ১ উইকেটে ৮৮ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ঝড়ো ২৩ রান করে ফেরেন শাই হোপ। তাকে ফেরান সাকিব। এ পরিস্থিতিতে ঝড় তুলতে পারেননি কিমো পল। তাকে দ্রুত ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে লুইস তাণ্ডব চলতেই থাকে। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে টাইগার বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করতে থাকেন তিনি। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা পঞ্চম দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড। অবশেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ম্যাজিকে থামেন বিস্ফোরক ওপেনার। তার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৬ চারের বিপরীতে ৮ ছক্কায় ৮৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন লুইস। তার সাইক্লোন থামিয়ে শিমরন হেটমায়ারকে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। বিধ্বংসী ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খড়কুটোর মতো উড়ে যান টাইগার অধিকাংশ বোলাররা। তবে পাথর হয়ে বসেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থরা রানবন্যায় ভাসার মধ্যে দারুণ বোলিং করেন তিনি। প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটের ৩টিই শিকার করেন মিস্টার কুল। খানিক বাদে রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন এ পার্টটাইমার।
পরে মাহমুদউল্লাহর দেখানো পথে হাঁটেন মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প ব্যাবধানে ফিরিয়ে দেন নিকোলাস পুরান ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে। এতে রানের চাকা কিছুটা শ্লথ হয় উইন্ডিজের। এর মাঝে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেরফান রাদারফোর্ডকে সাজঘরের পথ ধরেন সাকিব।
শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজ ও সাকিব নেন ৩টি করে উইকেট।