একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা থাকবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা থাকবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আলোচ্যসূচিতেও এ বিষয়টি রাখা হয়েছে। যদিও বিএনপি দাবি করে আসছে, এ নির্বাচনে জামায়াতের দলগত কোনো প্রার্থী নেই। যে ২৫ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার মধ্যে ২২ জন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তির করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।
জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের পদক্ষেপ নিতে ওই চার রিটকারী নির্বাচন কমিশনে যে আবেদন করেছিলেন, তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয় ওই আদেশে।
২০০৮ সালের ১ আগস্ট তরিকত ফেডারেশনের করা এক রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে। নিবন্ধন বাতিল হলেও স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এ দলের নেতারা এবার তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন কয়েকজন।
রিটকারীরা বলছেন, জামায়াতের নিবন্ধন নেই, তাই ওই দলের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। যেহেতু নিজস্ব প্রতীকে পারছেন না, সেহেতু অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণেরও সুযোগ নেই। তাদের সেই সুযোগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে ‘প্রতারণা, প্রবঞ্চনা’ করেছে।