বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও হাইকোর্টে বিফল হয়ে এবার তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন।
পৃথক তিনটি রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টে যে রিটটি দায়ের করেছিলেন গত ১৮ ডিসেম্বর তা খারিজ হয়ে যায়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তখনেই বলেছিলেন, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন।
দুটি দুর্নীতির মামলায় মোট ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তাকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে প্রার্থী করেছিল বিএনপি।
কিন্তু নভেম্বরের শেষে হাইকোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।
এরপর ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে দুই বছরের বেশি সাজার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করে দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও বিফল হন।
এরপর তারা রিট আবেদন নিয়ে যান হাইকোর্টে। তবে সেখানেও রায় বিপক্ষে গেলে এবার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেন খালেদার আইনজীবীর।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৩টি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন। শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন।
পরে প্রার্থিতা বাতিল করা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনটি রিট দায়ের করা হয়।