যারা ভয়-ভীতি দেখাতে চায়, তারা আহাম্মক : ড. কামাল

ডেস্ক রিপোর্ট

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী-নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা আমাদের ভয়-ভীতি দেখাতে চায়, তারা আহাম্মক। আমাদের বন্দুকের ভয় দেখাও? আসো সামনাসামনি। হুমকিদাতারা কাপুরুষ। তারা শহীদদের অপমান করছে। তারা (পাকিস্তানের শাসক) ইয়াহিয়ার উত্তরসূরী।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ড. কামাল এ কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, আমরা প্রজা নই। আমরা নাগরিক। স্বাধীন দেশের মানুষ কেউ প্রজা নয়। তারা নাগরিক। নাগরিকের দায়িত্ব আছে, কর্তব্যও আছে। আমাদের যেন কেউ আর প্রজা বলতে না পারে, তার জন্য ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে ওদের দেখিয়ে দিতে হবে।

ভোটের আর মাত্র ৫ দিন আছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, এই দেশ মানুষের মালিকানায়। কোনো রাজার মালিকানায় না। সরকারি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, সাহস থাকেতো সামনে আসেন। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আসো সামনাসামনি। কয় লাখ লোক মারবে? সব মানুষ মারতে পারবা না।

পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে ড. কামাল বলেন, আপনারা দুই নম্বরি কাজ করবেন না। কারও অবৈধ নির্দেশ মানা অন্যায়। সুষ্ঠুভাবে ভোটদানে আপনারা সহযোগিতা করুন।

জনগণের উদ্দেশে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ফজর নামাজ থেকে আপনারা প্রতিটি কেন্দ্রে আসবেন। নিজেরা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলো পাহারা দেবেন। আমরা চাই কোনো অনির্বাচিত সরকার নয়, নির্বাচিত বৈধ সরকার দেশ শাসন করুক।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, যেখানে জিয়াউর রহমান ও কাদের সিদ্দিকী, সেখানে স্বাধীনতা আছে। কামাল, রব, মান্না যেখানে আছেন, এর চেয়ে স্বাধীনতা আর কোথায় আছে? দেশের মানুষ ভোট যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটি দল কতোটা দেউলিয়া হলে সিনেমার নায়িকার ওপর ভরসা করতে হয়। আমরা সিনেমার হিরোইনদের দেখি টাকা দিয়ে, তাদের দেখে ভোট দেবো না।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি তৈরি হোন, আপনার আমলনামা তৈরি হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর জনগণের সামনে খোদা সেই আমলনামা উন্মুক্ত করে দেবেন। আমলনামার দিনই হবে চূড়ান্ত খেলা, যে খেলায় চোরদের পরাজয় হবে।

‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড্যাব সভাপতি ডা. আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে