নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, মাঠে থাকা সেনাবাহিনী নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আমি মনে করি যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল তা এখন দূর হবে। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে যেকোনো ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই বিষয়ে আইন আছে, সে অনুসারে তারা কাজ করবে।
আজ সোমবার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত চলমান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অল্প সংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিচার-বিশ্লেষণ করে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি। যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্প সংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তারা এখন এসে দেখুন, এর সম্পর্কে জানুন। আশা করি তাদের সন্দেহ ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, মূলত ইভিএম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এছাড়া সেনাবাহিনীর এ বিষয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তাই তারাও সহযোগিতা করবে। ছয়টি নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। সেটার জন্য এখানে যে ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে সেটা আমি পরিদর্শন করলাম। এখানে প্রত্যেকেই ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এখানে সবাই জানে কীভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে ভোট শেষ করে গণনা করতে হয়।
এ ছাড়াও নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে নুরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আস্থা ফিরে আসবে। এ উদ্দেশ্যেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারো অনুরোধ জানাব, হাঙ্গামা সহিংসতা আন্তঃকোন্দল দূর করে শুধু দলীয় প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে।