পুলিশ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজধানীর ব্যাচেলর বাসা-মেসসহ ভাসমান বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে ভোটার নন, ভাসমান, ব্যাচেলর এমন বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নাশকতা পরিকল্পনা ও দেশকে অস্থিতিশীল করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর একাধিক এলাকার ব্যাচেলর বাসা ও মেস মালিকরা এ প্রতিবেদককে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার অজুহাতে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মেস ও ব্যাচেলর বাসা ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এই ধরনের নির্দেশের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নজরদারি করা হবে, তবে এলাকা ফাঁকা করে চলে যেতে বলার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাদন ফকির বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না হয়, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহজনক এলাকাগুলোর ব্যাচেলর বাসা ও মেসের বাসিন্দা এবং ভাসমান লোক যারা এই এলাকার ভোটার নন তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় এ ধরনের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে ব্যাচেলর ও মেসের বাসিন্দা এবং নন-ভোটার ভাসমান বাসিন্দাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীরও একই ধরনের তথ্য জানান।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, নন-ভোটারদের তেজগাঁও এলাকা ছাড়ার কোনো নির্দেশনা আমি দিইনি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, নির্বাচনকালে যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক থাকে সেজন্য সব ধরনের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আরও অনেক কিছুই করা হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানীর ব্যাচেলর বাসা-মেসসহ নন-ভোটার ভাসমান বাসিন্দাদের সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।