বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনের নাম। মো. আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত করার পর দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তবে দল মনোনয়ন দিলেও নির্বাচন কমিশন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে দেবে কি-না এ নিয়ে বেবী নাজনীনের ‘অনিশ্চয়তা’ রয়েছে।
হাইকোর্টের চেম্বার আদালত সোমবার মো. আমজাদ হোসেনের প্রার্থিতা স্থগিত করেন। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদে থেকেই সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেয় আদালত।
এ বিষয়ে কথা বলতে বেবী নাজনীনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এই শিল্পীর ছোট ভাই এনাম সরকার মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, বেবী নাজনীন এখন সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর প্রচারণা কাজে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছেন।
বেবী নাজনীন কবে নাগাদ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন জানতে চাওয়া হলে এনাম বলেন, তার (বেবী নাজনীন) সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনও ঢাকার কিছু কাজ বাকি আছে। শেষ সময়ে মনোনয়ন দেওয়া হলো। এখন যদি রিটার্নিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ না দেয় সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকবে না। মূলত এক অনিশ্চয়তার ভেতরে আছি এখনও। বুধবারের (আজ) মধ্যে কিছু একটা রেজাল্ট জানা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে বেবী নাজনীনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন।
চিঠিতে মির্জা ফখরুল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেন, মো. আমজাদ হোসেনকে বিএনপি থেকে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তার প্রার্থিতা স্থগিত করেছে। বেবী নাজনীনও বিএনপির বৈধ প্রার্থী। তাই তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ করা হলো।