পাকিস্তানে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারিসহ বিরোধী দলগুলোর ১৭২ নেতার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার।
ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ পাচারের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টে দাখিল করা অর্থ পাচার মামলা তদন্তে গঠিত যৌথ তদন্ত দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর জিওটিভির।
২০১৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জারদারি। তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ। এ কারণে এক সময় ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ হিসেবেও পরিচিতি পান। ফাওয়াদ বলেন, আশা করি জারদারি এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবেন।
এটা এখন আর সেই পুরনো পাকিস্তান নয়, যেখানে মানুষ আপস করবে। এই নিরপেক্ষ জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
জারদারিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের আগেই গ্রেফতার করা হতে পারে, তার আইনজীবী লতিফ খোসার এমন আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে দেশটির তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাল্লাহ’। এটা সম্পর্কে এর বেশি আমি কী বলতে পারি।
চলতি বছরের জুলাইয়ের নির্বাচনের আগে আগে জারদারি ও বিলাওয়াল ভুট্টোসহ পাকিস্তানের কয়েক ডজন রাজনীতিকের অর্থবিত্তের তথ্য নতুন করে উঠে আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে।
সেখানে উঠে আসে পিপলস পার্টির পার্লামেন্টারিয়ানস (পিপিপি-পি) প্রধান আসিফ আলী জারদারি ছয়টি বুলেটপ্রুফ বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। দুবাইয়ে হাজার হাজার একর জমির মালিক জারদারির শখ অস্ত্র, ঘোড়া ও পশু কেনা। এ জন্য লাখ লাখ রুপি খরচ করেন তিনি।
তবে আসিফ আলী জারদারি বরাবরই বলে আসছেন, পাকিস্তানের বাইরে দুবাইয়ে তার একটি খালি জমি রয়েছে। কোনো এক সময় যা ১০ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৫ কোটি ৮৬ লাখ রুপি। যার অর্ধেকেরই মালিক তার ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
আসিফ আলী জারদারির গাড়ির মধ্যে রয়েছে তিনটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, দুটি বিএমডব্লিউ ও একটি টয়োটা লেক্সাস। সব কটিই বুলেটপ্র“ফ। সংগ্রহে থাকা শখের ঘোড়া ও গবাদি পশুর বাজারমূল্য প্রায় ৯৯ লাখ রুপি। এ ছাড়া প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ রুপির অস্ত্র আছে জারদারির।