মন্ত্রিসভা গঠনে কাজ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিপুল ভোটে বিজয়ের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে। এ জন্য কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গেজেট জারির পর রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য হতে সংসদ সদস্যদের শপথের আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন। এরপরই দফতর বণ্টন করে আদেশ জারি করা হবে।

মূলত মন্ত্রিসভা গঠনের দাফতরিক কাজগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করে থাকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (বিধি ও সেবা) শফিউল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবার যা হয় এবারও তাই হবে। এরপরও প্রিপারেশনের বিষয় তো আছেই। সেটা শুরু হয়েছে।

যখন নতুনরা শপথ নেবেন তখন অটোমেটিক্যালি এ মন্ত্রিসভা থাকবে না বলেও জানান তিনি।

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৮৮টি আসনে (আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কাস পার্টি ৩, জাসদ ২, বিকল্পধারা ২, তরিকত ফেডারেশন ১, জেপি ১) বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছে। বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি (বিএনপি ৫, গণফোরাম ২) আসন। স্বতন্ত্রসহ অন্যান্যরা জয় পেয়েছেন ৩টি আসনে।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।

ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলেও শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাচ্ছে এটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যাদের চাইবেন তাদেরই জায়গা হবে নতুন মন্ত্রিসভায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই সঙ্গে নতুন সদস্যদের জন্য গাড়িও প্রস্তুত রাখবে সরকারি যানবাহন অধিদফতর (পরিবহন পুল)।

শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে