একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী মহাজোটের ২৮৮ এবং তিন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো একাদশ জাতীয় সংসদের।
তবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাত জনপ্রতিনিধি শপথগ্রহণ করেননি। শপথ অনুষ্ঠানে তাদের দেখা যায়নি।
তবে আজ শপথ না নিলেও তাদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের শপথ নিতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী-২৯১ জনকে শপথবাক্য পাঠ করান দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আগে নিয়ামানুযায়ী স্পিকার নিজেই শপথগ্রহণ করেন।
শপথের পর নবাগত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন এবং গ্রুপ ছবি তোলেন।
এ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই এমপিরা সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে শুরু করেন। দশম সংসদের সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একে একে প্রবেশ করতে থাকেন সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের শপথকক্ষে।
এমপিরাও হাত নেড়ে সংসদে প্রবেশ করেন। সব মিলে সংসদ ভবন এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশের তৈরি হয়।
নিয়মানুযায়ী দুপুরে পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে দলনেতা নির্বাচিত হবেন।
তার পর দলের নেতা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলবেন, আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে সংসদে। তখন রাষ্ট্রপতিকে তিনি সরকারপ্রধান করার অনুরোধ করবেন। তার পরেই গঠিত হবে নতুন সরকার।
তবে সংবিধান অনুযায়ী-সংসদ অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে তাদের শপথ নিতে হবে, তা না হলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আজ শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের ২৮৮ সংসদ সদস্য। এ ছাড়া স্বতন্ত্র আরও তিন জনপ্রতিনিধিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে জয়লাভ করে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ আসনে জয়ী হয়। মঙ্গলবার ২৯৮ সংসদ সদস্যের নামে গেজেট জারি করা হয়।
বাকি দুটির মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করতে হবে বলে সেখানে ফল স্থগিত রয়েছে।