জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নিজ নিজ আসনের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের এক বৈঠকে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বেলা ১২টায় শুরু হয়ে বৈঠক চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নিজ নিজ আসনের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বৈঠক থেকে বের হয়ে নেত্রকোনা-১ আসনের প্রার্থী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ছাড়া বিকেলে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটা প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেবে বলেও জানান তিনি।
তবে বৈঠকে যাওয়ার আগে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যেহেতু এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি, ফলে কারও শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরপরও কেউ যদি শপথ নেয়, তাহলে সেটা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন প্রার্থীরা। এর পরিপেক্ষিতে করণীয় কী হতে পারে সেই বিষয়ে মতামতও নেওয়া হয় প্রার্থীদের।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রার্থীরা গুলশানে আসতে শুরু করেন। প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটের অনিয়মের একটি প্রতিবেদনও নিয়ে আসেন।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থীদের একটি চিঠি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছিল, ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন দিতে হবে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।