নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ব্যাগা গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ‘মূল হুকুমদাতা’ রুহুল আমিন মেম্বার ও মামলার ৫ নম্বর আসামি বেচুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন মেম্বার সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং বেচু ব্যাগা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন মত ও পথকে জানান, রাতে পুলিশের দুটি দল জেলার সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে এবং সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেচুকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, রুহুল আমিন মেম্বার যদি অপরাধী হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। অপরাধ প্রমাণ হলে দ্রুত সাংগঠনিক মিটিংয়ে বসে ও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, ভোট কেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে ব্যাগা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। তারা সিরাজসহ চার সন্তানকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে নয় জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেশপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হন মামলার আরো দুই আসামি স্বপন ও বাদশা আলম প্রকাশ বাসু। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হলেন আরো দুজন। পলাতক রয়েছে আরো চার আসামি।
এদিকে বুধবার ধর্ষিতা ওই নারীর সঙ্গে দেখা করে তার বক্তব্য নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাকে আইনি সহায়তা দেয়ার কথাও জানানো হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।
এছাড়া ধর্ষণের এই ঘটনাকে নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর সঙ্গে জড়িতরা কোনো ধরনের ছাড় পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।