গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কোথাও কোথাও তা তীব্র আকার ধারণ করে বিঘ্নিত করছে জনজীবন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসেও দুটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতরে কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয়। অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে জানিয়ে সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ মাসে দেশে দু-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মত ও পথকে জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনও কখনও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২১ দশমিক তিন শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশের মতো ঢাকায়ও জেঁকে বসেছে শীত।