নোয়াখালীর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত : ড. কামাল

ডেস্ক রিপোর্ট

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। এতে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার নির্যাতিত হয়েছে।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর (৪০) ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। জাতি হিসেবে এ ঘটনা সবাইকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা কঠিন।

বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেন, এই ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।

শুধু ওই নারী নির্যাতিত নয়, বরং নির্যাতিত হয়েছে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার উল্লেখ করে তিনি আরা বলেন, এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য তিনি দেশের জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য বলেন। এই লজ্জা সমগ্র জাতির।

প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রোববার রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল যুবক ওই নারীর বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামী-সন্তানদের অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ করে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সংসদ নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় ওই নারীর সঙ্গে কেন্দ্রে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তর্ক হয়। যুবকরা ওই নারীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই গণধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে