মেলবোর্নেই অস্ট্রেলিয়াকে ফলো অন করানো সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু সিরিজ জিততে মরিয়া বিরাট কোহলি তখন তা করেননি।
তবে সিডনিতে দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ পেয়েই টিম পেইনদের ফলো অনে পাঠিয়েছে সফরকারীরা।
ভারতের ৬২২ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩০০ রানে। ফলে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ঘরের মাঠে ফলো অনে লজ্জায় পড়ল তারা।
সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত। সিডনিতে বেশ তাই ফুরফুরে মেজাজে কোহলিরা। প্রথমে ব্যাট করে ৬২২ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে।
তারপর চেপে বসে অস্ট্রেলিয়ার ওপর। টেস্টের তৃতীয় দিন বৃষ্টি কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায় খেলা।
কিন্তু তার আগেই অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশ যা ঘটার ঘটে গেছে। ১৯৮ রানে শেষ ৬ উইকেট। বৃষ্টির ‘আশীর্বাদ’ না নামলে হয়তো শনিবারই ফলো অনের লজ্জায় পড়তে হতো তাদের।
বৃষ্টি কারণে চতুর্থ দিনের খেলাও শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি স্বাগতিকদের। অল আউট হয়ে গেছে ৩০০ রানে।
ভারতের হয়ে ৯৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কুলদিপ। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহ নিয়েছেন একটি।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় বোলারদের দাপট বেশ বিরল ঘটনা। বিরাট কোহলির এবারের দলটি অন্য বারের চেয়ে ভিন্ন। দুর্দান্ত এক পেস আক্রমণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছে তারা। তাদের দাপটে এখন অস্ট্রেলিয়া জয়ের দ্বারপ্রান্তে ভারত।
অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ২৩৬ রান করে। উইকেটে ছিলেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও প্যাট কামিন্স।
চতুর্থ দিন স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ করার আগেই মোহাম্মদ শামির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন কামিন্স (২৫)।
এরপর দলীয় ২৫৭ রানে হ্যান্ডসকম্বকে তুলে নেন বুমরাহ। নাথান লায়নও (০) ফিরে যান দ্রুতই।
তারপর অবশ্য জস হ্যাজেলউডকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মিচেল স্টার্ক। কিন্তু হ্যাজেলউড কুলদিপের এলবিডাব্লুর শিকার তাদের প্রতিরোধ থেমে যায় ৪২ রানে।
এরই মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬ রান। ব্যাট করছেন উসমান খাজা (৪*) ও মার্কাস হারিস (২*)।