ঘুষের মামলায় নাজমুল হুদা কারাগারে
ডেস্ক রিপোর্ট
সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এইচ রুহুল ইমরান জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে নাজমুল হুদা হাইকোর্টের নির্দেশে
আজ রোববার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট ঘুষ গ্রহণের মামলায় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ৪ বছর করে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে।
এতে তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। বেঁধে দেয়া সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে তাকে গ্রেপ্তারের কথাও বলা হয়।
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
একই বছরের ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদার ৭ বছর এবং স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট সাজা বাতিল ঘোষণা করেন। খালাস পান নাজমুল হুদা দম্পতি।
এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন হাইকোর্টকে।
২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ হুদা দম্পতির আপিল খারিজ করে এ রায় ঘোষণা করেন।
ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদার ৭ বছর এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদার ৩ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়।
এর বিরুদ্ধে আপিল করেন তারা। কারাদণ্ড কমালেও নাজমুল হুদাকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট।