প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আগের মন্ত্রিসভার সিংহভাগ সদস্যদের বাদ দেওয়ার পেছনে তাদের কোনো ব্যর্থতা কারণ ছিল না।
তিনি বলেন, তারা সফল ছিলেন বলেই দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। নতুনদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নব নির্বাচিত মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত সোমবার সরকারপ্রধানকে নিয়ে ৪৭ সদস্যের যে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে তার মধ্যে ২৭ জনই নতুন মুখ। আরও ৪ জন সদস্য নবস সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের।
যারা নতুন সরকারে মন্ত্রিত্ব পাননি তাদের মধ্যে আছে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মোহাম্মদ নাসিম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মোশাররফ হোসেনের মতো জ্যেষ্ঠ নেতারাও।
নতুন মন্ত্রিসভায় বড় মন্ত্রণালয় যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রথমবারের মতো এসেছেন সরকারে। আবার প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েই পেয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর, উপমন্ত্রীর পদ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, তারা সরকার ও দলকে আলাদা করতে চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুতনদের মন্ত্রী বানিয়েছি এরমানে এই নয় যে পুরনোরা ব্যর্থ ছিল। পুরনোরা সফল ছিল বলেই দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। নতুনদের বানিয়েছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য। তাদেরকে সব কাজ বুঝে এরপর করতে হবে এবং পুরনোদের সফলতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এ সময় নতুন সরকারের সবাইকে কঠোর নজরদারিতে রাখার কথা জানান শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। তারা সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার কথা বলেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন মন্ত্রীদের সব কাজ বুঝে নিয়ে তারপর করতে হবে এবং পুরনোদের সফলতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসময় নবনির্বাচিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।