সরকার সুবর্ণচরের সেই গৃহবধূকে জমি দিচ্ছে

সারাদেশ ডেস্ক

সরকার নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর পরিবারের পুনর্বাসনে তার নামে খাস জমি বরাদ্দ দিচ্ছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে গিয়ে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসককে জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।

universel cardiac hospital

এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনাটিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ ১০ আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। বাকিরা শিগগিরই ধরা পড়বে।

তিনি নির্যাতিত ওই নারীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহে আলমসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, রোববার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে যান বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি সমন্বয়ক খুশী কবির। তিনি ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

এ ছাড়া সোমবার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলার পাঙ্খার বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংস্থার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুশী কবির।

এ সময় তিনি বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ঘটনার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট অপরাধীরা যেন পার পেয়ে না যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আসামিদের পক্ষে আদালতে না দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় আইনজীবীদের প্রতিও অনুরোধ জানান তিনি।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যা সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসাধীন ওই নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পর্যবেক্ষণের পর যদি মনে করেন, ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও স্থানান্তরের প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো।

এদিকে, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রোববার সাত আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই দিন অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো- সালাউদ্দিন, মুরাদ ও আবুল ওরফে আবুইল্যা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশকে তারা জানিয়েছে, রুহুল আমিন মেম্বার ও বুলুর নির্দেশে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মত ও পথকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে