বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ অর্থনীতি নিয়ে দারুণ এক সুখবর পেল।
বলা হচ্ছে, চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
আর অর্থনীতির এই গতিশীলতা ধরে রাখা গেলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৩৬তম, ২০২৮ সালে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে হবে ২৪তম। ২০১৯ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৩টি দেশের অর্থনীতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)।
লন্ডনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান প্রকাশিত তালিকায় গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৩তম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ এগিয়েছে দুই ধাপ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ শীর্ষক এই তালিকায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।
২০১৮ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এর ফলে ২০৩৩ সালে বাংলাদেশ ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
ব্রিটিশ এই প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, তৈরি পোশাক রপ্তানি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, ভারতীয় বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, দেশীয় ও সরকারি ব্যয় মিলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।
প্রায় ৪৩ শতাংশ বাংলাদেশি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত, যাদের অধিকাংশই ধান এবং পাট উৎপাদন করেন। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভুট্টা, শাকসবজি এবং গমের উৎপাদন বৃদ্ধি ভূমিকা রাখছে।
যদিও আমদানি হার বেশি থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের সফলতা নিয়ে ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানায় সিইবিআর।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অবকাঠামো খাতে অর্থায়ন, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সরকারকে নতুন নতুন খাতের দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।
সিইবিআরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ২০৩৩ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে চীন প্রথম, ভারত তৃতীয় এবং জাপান চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে। ফলে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর জার্মানির অবস্থান হবে পঞ্চম।