শশা শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। শশা রান্না ছাড়া সালাদ হিসেবে বা কামড়েও খাওয়া যায়। শশার ভেষজ গুণের শেষ নেই। ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’র চাহিদা পূরণ করে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। শশার সবচেয়ে ভালো পুষ্টি পেতে হলে সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া ভালো। সৌন্দর্য পিপাসু নারী-পুরুষেরা শশা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে শশা উপকারী।
এবার তবে শশার কিছু ভেষজগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
চোখের যত্নে : শশা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়, সেইসঙ্গে চোখের জ্বালাপোড়া দূর করে চোখ ভালো রাখে। চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতেও শশা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া শশা থিতো করে নিয়ে চোখের উপর পাতলা কাপড় অথবা তুলা দিয়ে তার উপর দিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চোখের ডার্ক সার্কেল দূর হবে।
ত্বকের যত্নে : শশা থিতো করে এর রসটুকু ছেকে নিতে হবে। তারপর এই রসের সাথে কয়েক ফোটা গোলাপজল মেশাতে হবে। এবার তৈরিকৃত মিশ্রণটি টোনার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
ওজন কমাতে : শশাতে রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমাণ ক্যালরি। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শশা আদর্শ খাবার।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করতে : কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা হয়ে ওঠে না। আর এই পানি ঘাটতি দূর করতে শশার তুলনা হয় না। শশায় ৯০ ভাগ পানি থাকায় দেহের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখে।
দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে : নিয়মিত শশা খেলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী শশা।
দেহের ক্ষতিকর পদার্থ দূরীকরণে : শশা দেহে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীর ভালো রাখে এবং এতে কিডনিও সুস্থ থাকে।
অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে: হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যায় নিয়মিত শশা খাবেন। কারণ শশাতে আছে এরেপসিন নামের আনজাইম। আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও তাজা শশার রস উপকারী। শরীরের পিএইচ সমতা বজায় রাখে শশা।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শশা।
মুখের দুর্গন্ধ সারাতে : শশা মুখের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। শশায় বিদ্যমান ফাইটোক্যামিকেলস মুখের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয় বলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
মাথাব্যথা দূর করতে : সকাল বেলা যাদের মাথাব্যথা হয় তারা সকালে উঠেই কয়েক টুকরা শশা খেয়ে নিলে সুফল পাবেন।