বাংলাদেশ অবশেষে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা পাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সরকারের সঙ্গে সংস্থাটির ২৫ কোটি ডলারের (২ হাজার ১০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আগামী ৩ বছরে ধাপে ধাপে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য দেওয়া অর্থ ‘জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ নামের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বুধবার সন্ধ্যায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম। প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অবকাঠামো, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে উন্নতি করেছি। তবে কর্মসংস্থানে কিছুটা পিছিয়ে আছি। সরকার অবকাঠামো সুবিধাসহ বেসকারি খাতকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। তারা ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। ফলে বিভিন্ন খাতভিত্তিক বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠিত হলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের রাজস্ব, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কার করা হবে। আমাদের ৬০ শতাংশ কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ জনসংখ্যার বোনাসকাল ভোগ করতে পারবে। দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে। আগে ওঠানামা থাকলেও এখন ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। নির্বচানী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা আমরা বাস্তবায়ন করব।
চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে, গত দুই দশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য নিরসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কেননা, প্রতিবছর ২ মিলিয়ন তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তিনিটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব, মানসম্মত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মসংস্থানে নারীদের পিছিয়ে থাকা।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া এ ঋণ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ (গ্রেস পিরিয়ড) ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
এক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদসহ মোট ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।