সরকার ঘোষিত সর্বশেষ মজুরি কাঠামোকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ আজও অব্যাহত রয়েছে।
সরকার নির্ধারিত নতুন বেতন কাঠামো সমন্বয় ও বাস্তবায়নের দাবিতে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে রবিবারও বিক্ষোভ হয়েছে।
এ দাবিতে গত ৭ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধশতাধিক কারখানা। আশুলিয়ায় থেমে থেমে সড়ক অবরোধের চেষ্টাকালে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ রোববার সকাল থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার ইউনিক, জামগড়া, বেরন ও নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত শিল্প কারখানা সমূহে শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে শ্রমিকরা টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় শ্রমিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন।
এদিকে আতঙ্কিত হয়ে ভাঙচুর এড়াতে সাভার ও আশুলিয়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা শামিনুর রহমান জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল শনিবার আশুলিয়ায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এ সময় সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়।
এছাড়া ঢাকার মিরপুরের টেকনিক্যাল, টোলারবাগ, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।
কচুক্ষেত এলাকায় পোশাকমালিকেরা শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশ নিতে না দিলে কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরও করা হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ পুরো চারটি স্থানেরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এদিকে প্রাপ্য বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসার পর নতুন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মজুরি কাঠামো পুনর্মূল্যায়নে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গত বৃহস্পতিবার প্রথম সভাও করেছে।
পোশাক শ্রমিকদের জন্য গত বছর ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সাতটি গ্রেডের মধ্যে যে তিনটি গ্রেড নিয়ে আপত্তি এসেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে সমন্বয়ের আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির প্রধান শ্রম সচিব আফরোজা খান।