জনাব আহমদ শফিদের চিন্তাধারা মধ্যযুগীয়

শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সমাজের যাবতীয় কুসংস্কার ও অন্ধকার দূরীকরণ, সভ্যসমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার একক অভিন্ন পথ হলো শিক্ষা। আমাদের ধর্মের প্রবর্তক হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন “প্রত্যেক নর ও নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ”। এখানে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শুধুমাত্র পুরুষদের কে তাগিদ দেওয়া হয়নি, নারীদেরকেও সমানভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় হযরত খাদিজা (রাঃ), হযরত আয়েশা (রাঃ), হযরত ফাতেমা (রাঃ), হযরত হাফসা (রাঃ) এরা প্রত্যেকেই সেই সময়ে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। অথচ গত কিছুদিন পূর্বে আমাদের দেশের একজন বর্ষীয়ন আলেম নারীদেরকে ক্লাশ ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়া-লেখা করার পর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে তাদের অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন, যা শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘনই নয় ইসলাম পরিপন্থীও বটে।

একটি শিশু তার শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক ধাপগুলো মায়ের মাম্যমেই অতিক্রান্ত করে থাকে। সেক্ষেত্রে ঐ মা যদি অশিক্ষিত হয় তার পক্ষে তাঁর সন্তানটিকে যথার্থ পরিচর্যা কর সম্ভব হবে না। একটি সমাজ কিংবা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারী শিক্ষার পথকে রুদ্ধ করার বিষয়টিকে আধুনিক সভ্যজগতের কেউ সমর্থন করে না। ইসলামও তা সমর্থন করে না। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রতির জন্য পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকে সমান শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। তা হলেই দেশের ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব হবে। সম্ভব হবে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।

এমতাবস্থায়, আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব জনাব আহমদ শফিদের মতো যাঁরা মধ্যযুগীয় চিন্তাধারায় পরিপুষ্ট পরিচালিত তাঁদেরকে উপেক্ষা করে চলতে। বরং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে নারী শিক্ষাকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করতে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানাই সকলকে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে